পারিবারিক শিক্ষা ও মূল্যবোধই বঙ্গবন্ধুকে একজন বিচক্ষণ, দূরদর্শী ও মানবতাবাদী নেতা হতে সাহায্য করেছিল। সাধারণ মানুষের সাথে তাঁর মাটির সম্পর্ক ছিল। অন্যের বিপদে এগিয়ে যাওয়া ছিল তাঁর সহজাত গুণ। তাঁর অন্যতম গুণ ছিল লক্ষ্যে স্থির থাকা। আর এ কারণেই শত বাধা-বিপত্তি, জেল-জুলুম সহ্য করেও তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করতে পেরেছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গত ১৮ আগস্ট বিউবো’র উদ্যোগে “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও শোকাবহ ১৫ আগস্ট” শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অনুষ্ঠানের মূল আলোচক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর এর কিউরেটর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মজলুমের পক্ষে ও শোষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংগ্রাম করে গেছেন। এজন্য পরাজয় স্বীকার করে নেয়ার কোন মানসিকতা তাঁর মধ্যে ছিলনা। তাইতো ১৫ আগস্ট কালরাতে মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়েও তিনি খুনিদের কাছে জীবন ভিক্ষা চাননি।
বিউবো চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ মো. হাবিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর।
আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন সংস্থা/কোম্পানির প্রধানগণ, বিদ্যুৎ বিভাগের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ, বিউবো’র সদস্যবৃন্দ ও ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাগণসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তাগণ, পেশাজীবী সংগঠন ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন উর্দু বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন জামে মসজিদের খতিব হুসাইনুল বান্না। আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিউবো’র সদস্য প্রশাসন মো. সাঈদ কুতুব। বিউবো’র পরিচালক জনসংযোগ সাইফুল হাসান চৌধুরী ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।