বিউবো চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেছেন, প্রশিক্ষণ কোনো এককালীন বিষয় নয়। নিরন্তর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের দক্ষতা শাণিত করা যায়। তাছাড়া নিয়ত পরিবর্তনশীল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে লাগসই জনবল তৈরীর জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। তিনি ১ ডিসেম্বর রামপালে ১৩২০ মেঃওঃ মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানি (বিআইএফপিসিএল) লিমিটেডের নবনিযুক্ত ৪৭ জন প্রকৌশলীর বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, বিআইএফপিসিএল তাদের নিজস্ব কারিগরি জনবল গঠনের উদ্দেশ্যে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের এই সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এতে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনায় নতুন গতি সঞ্চার হবে বলে আমি আশা করি। তিনি বলেন, এ কোর্সে বিআইএফপিসিএল-এর নবনিযুক্ত প্রকৌশলী কর্মকর্তাগণ উন্নতমানের তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। চেয়ারম্যান বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার সংগ্রামে বিদ্যুৎ খাতকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। সকল উন্নয়নের ‘ব্যাকবোন’ হিসেবে বিদ্যুৎ খাতকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। এত বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ জনবল থাকা অপরিহার্য। একটি প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কারিগরি জনবল শুধু বিআইএফপিসিএল-কেই নয়, এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতকেও সমৃদ্ধ করবে। এর আগে বিউবো চেয়ারম্যান নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং কাজের অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেন। এসময় তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করেন এবং সিএসআর কার্যক্রমের আওতায় স্থানীয় শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন।
বিআইএফপিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিমেষ জৈনসহ বিউবো ও বিআইএফপিসিএল এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ এই কেন্দ্রের ৬৬০ মেঃওঃ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
পরে বিউবো চেয়ারম্যান নির্মাণাধীন খুলনা ৩৩০ মেঃওঃ বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, ডুয়েল ফুয়েল এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের লক্ষ্যে ইপিসি ঠিকাদার চীনের হারবিন (Harbin) ইলেকট্রিক ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি ও জিয়াংসু ইটার্ন (Jiangsu Etern) কোম্পানির যৌথ উদ্যোগের সাথে নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা ৩০ এপ্রিল ২০১৯ থেকে কার্যকর হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আগামী বছর উৎপাদনে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তিন হাজার নয়শত কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ৫০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।